তিন দিক ঘিরে রয়েছে চীন,ফিলিস্তিন ও জাপানের দূতাবাস এবং একদম পাশ ঘেঁষেই রয়েছে জাতিসংঘের একটি ভবন।
এরই মাঝামাঝি বা কাছাকাছি একটি স্থানে নিজস্ব জমিতে সগৌরবে হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ দূতাবাসের চ্যান্সরী ভবন।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) কুয়েতের মুশরেফ এলাকার ডিপ্লোমেটিক জোনে কুয়েতের বরাদ্দকৃত ২টি জমি কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আশিকুজ্জামানকে বুঝিয়ে দিতে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা স্বশরীরে উপস্থিত ছিলেন সেখানে।
১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস।এ দিবসটিকে সামনে রেখে আরেকটি ঐতিহাসিক দিন কুয়েত তথা কুয়েত প্রবাসী বাংলাদেশীদের জন্য।কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান এ মন্তব্য করে জানান, মুজিবনগর দিবসের এই ঐতিহাসিক দিনে বন্ধুপ্রতিম কুয়েত রাষ্ট্র বিনিময়ের ভিত্তিতে মুশরেফ ডিপ্লোমেটিক জোনে বাংলাদেশ দূতাবাসের চ্যান্সরী ভবনের জন্য ৩,০০০ স্কয়ার মিটার এবং বাংলাদেশ হাউজের জন্য ১,০০০ স্কয়ার মিটার মোট ৪,০০০ স্কয়ার মিটারের দু’টি প্লট বরাদ্দ করেছে।
এছাড়াও রাষ্ট্রদূত জানান, প্রয়োজনীয় সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন শেষে দ্রুত কুয়েতে নিজস্ব চ্যান্সরী ভবন এবং বাংলাদেশ হাউজ নির্মাণের কাজ শুরু করা সম্ভব হবে।
চ্যান্সরী ভবন এবং বাংলাদেশ হাউজ এর জন্য বরাদ্দকৃত জমি পরিদর্শন করেন, প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ হাসান উজ-জামান, কাউন্সিলর ও দূতালয় প্রধান মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান সহ দূতাবাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাগন।
নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্যদিয়ে কুয়েতের সাথে বাংলাদেশের কুটনীতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন করে চলেছে কুয়েতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস।
এমন একটি মাহেন্দ্রক্ষণে ঐতিহাসিক সুখবর পেল বাংলাদেশ। ১৯৭৩ সালের ৪ নভেম্বর কুয়েতের সঙ্গে বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিল।
অন্যদিকে ১৯৭৪ সালের এপ্রিল মাসেই কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসের কার্যক্রম
শুরু হয়।
প্রায় ৫০ বছর পর ১৭ এপ্রিল ২০২৪ সালে কুয়েতে নিজস্ব ভূমিতে বাংলাদেশ দূতাবাস স্থাপন করার জমি পেল বাংলাদেশ।